ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পারজোয়ার ব্রাহ্মণগাও উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্যতামূলক কোচিং করানোর অভিযোগ উঠেছে। কোচিং করতে নাই চাইলেও সহকারী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বিদ্যালয়টিতে বাধ্যতামূলক কোচিং ফি আদায় করছেন বলে ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে দুই মাসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়েই তিনি এ কাজ করেন বলে জানান বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস থেকে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জোর করে কোচিং ক্লাস করতে বাধ্য করা হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী কোচিং না করার অনুরোধ জানালে সহকারী প্রধান শিক্ষক হুমকি ধামকি ও বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের ভয় দেখান। কিছু শিক্ষার্থী ওই সময়ে কোচিংয়ে আসলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কোচিং ক্লাস করেননি। পরবর্তীতে মে মাসের স্কুলের পরীক্ষার সময় নবম দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে জোরপূর্বক ৯০০ টাকা ও ১০০০ টাকা কোচিং ফি আদায় করেন। শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে ঘোর আপত্তি জানালেও তিনি সেটা আমলে নেননি।
অভিযোগ রয়েছে, অভিভাবকরা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিষয়টি জানালে জাফর ইকবাল বাপ্পি মনু দেওয়ান রফিক উল্লাহ মিয়া সহকারী প্রধান শিক্ষককে কোচিং না করানো এবং টাকা না উঠাতে মৌখিক নির্দেশনা দেন। অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাত দিয়ে তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।
উল্লেখ্য মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্কুলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ অমান্য করে স্কুলের কিছু সুবিধাভোগী শিক্ষক কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা যায়, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন চিকিৎসা জনিত কারণে দুই মাসের ছুটিতে ছিলেন। এ সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে দুই মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়। এ সুযোগে তিনি কোচিং বাণিজ্য চালান বলে জানায় বিদ্যালয় সূত্র।
এদিকে বর্তমানে বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন। এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কোচিং করার কোন অনুমতি আমি দেই নি। বিষয়টি জানার পর আমি মৌখিকভাবে তাদেরকে নিষেধ করি কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সহকারী প্রধান শিক্ষক নজরুল নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবি করে আমার নির্দেশ অমান্য করেন।